ম্যাকবুক এয়ার ১৫ বাজারে এসেছে। অ্যাপল ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স ২০২৩ গত জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ইভেন্টে অ্যাপল এই ল্যাপটপ লঞ্চ করার ঘোষণা দেয়। আপনি যদি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সহ একটি ল্যাপটপ চান তবে এটিকে অবশ্যই বেছে নিতে পারেন।
এটি একটি অত্যন্ত পাতলা এবং হালকা ল্যাপটপ। আরও বড় কথা, এই প্রথম অ্যাপল নিয়ে এল ১৫ ইঞ্চির ল্যাপটপ। এই কোম্পানির ল্যাপটপের মধ্যে এর স্ক্রিন সবচেয়ে বড়। অ্যাপল-এর এর ম্যাকবুক এয়ার ১৫ তেও একটি এম২ চিপসেট রয়েছে। একই চিপসেট ম্যাকবুক এয়ার ১৩-তেও রয়েছে। এছাড়াও, এই দুটি ল্যাপটপ কানেক্টিভিটি এবং রঙের দিক থেকে একই রকম। কিন্তু তবুও দুই ল্যাপটপের পার্থক্য কিন্তু কিছু কম নয়। কিছু ক্ষেত্রে দুটি অনেকটাই আলাদা:
১. স্ক্রিন সাইজ: সবার আগে যেটা না বললেই নয়, বা প্রধান পার্থক্য হল স্ক্রিন সাইজ। ম্যাকবুক এয়ার ১৩ তুলনামূলক ভাবে সাইজে ছোট ম্যাকবুক এয়ার ১৫-এর তুলনায়। এখানে ১৩.৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে আছে। এছাড়া ম্যাকবুক এয়ার ১৫-তে গ্রাহকরা হাই রেজ্যুলিউশন যুক্ত ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন। তবে দুটোর স্ক্রিন কোয়ালিটি এবং ব্রাইটনেস প্রায় এক।
২. ওজন: ম্যাকবুক এয়ার ১৩ এর ওজন ১.২৪ কেজি। সেখানে ম্যাকবুক এয়ার ১৫ এর ওজন ১.২৯ কেজি। এছাড়াও, ম্যাকবুক এয়ার ১৫ ম্যাকবুক এয়ার ১৩ এর থেকে কিছুটা মোটা। যদিও এটি খুব বেশি নয়।
৩. বড় ট্র্যাকপ্যাড: উভয় ল্যাপটপে একই আকারের কীবোর্ড থাকলেও, ম্যাকবুক এয়ার ১৫-তে ম্যাকবুক এয়ার ১৩-এর থেকে একটি বড় ট্র্যাকপ্যাড রয়েছে৷ তাই আপনি যদি একটি বড় ট্র্যাকপ্যাড চান, তাহলে আপনাকে ম্যাকবুক এয়ার ১৫-বেছে নিতে হবে৷
৪. গ্রাফিক্স ক্যাপাসিটি: ম্যাকবুক এয়ার ১৩ -তে আছে ৮ কোর জিপিইউ আর ম্যাকবুক এয়ার ১৫ -তে আছে ১০ কোর জিপিইউ। বড় স্ক্রিনে তাই গেমিংয়ের আরও ভালো গেমিং অভিজ্ঞতা পাবেন।
৫. চার্জিং অ্যাডাপ্টার: ম্যাকবুক এয়ার ১৫ -তে আছে ৩৫ ওয়াট ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট। আর ম্যাকবুক এয়ার ১৩ -তে আছে ৩০ ওয়াট ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট।
৬. দাম: ম্যাকবুক এয়ার ১৫ ম্যাকবুক এয়ার ১৩ -এর তুলনায় ২০,০০০ টাকা বেশি দামী।
৭. ব্যাটারি: ম্যাকবুক এয়ার ১৩-তে ৫২.৬Wh ব্যাটারি আছে। অন্যদিকে ম্যাকবুক এয়ার ১৫ -তে বড় ব্যাটারি থাকলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী নয়।
০ টি মন্তব্য