ইউএন ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি, ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম, গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪: সবার জন্য একটি উন্মুক্ত, অবাধ এবং নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যত
ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট (বিপিসিআইডিএম), বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ) এবং এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এর যৌথ উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর সহায়তায় ২৫ সেপ্টম্বর ২০২৩, জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এ শীর্ষক এক জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ এই গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪ সম্মেলন নিয়ে জাতিসংঘের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন " আমরা আশা করি যে, এই গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে।” তিনি আরো উল্লেখ করেন “আমরা সর্বোতভাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্যোগ সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪ সমর্থন করি। আমরা আশা করি সামিট অব দ্য ফিউচার বিষয়ক প্রক্রিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সহায়তা করবে”
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। জনাব স্টেফান লিলার, ইউএনডিপি- বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি এবং জনাব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি. চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, ডিজিটাল ইকোনমি অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট (বিপিসিআইডিএম), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং চেয়ারপারসন, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এই আলোচনা সভায় জনাব ৩২ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে এই গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এর এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সংসদ সদস্যবৃন্দ হলেন, অসীম কুমার উকিল, এমপি, খ. মমতা হেনা লাভলী, এমপি, জাকিয়া পারভীন খানম, এমপি, অপরাজিতা হক, এমপি, শিরীন আখতার, এমপি, লুৎফুন নেসা খান, এমপি, র. আ. এ. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি, বাসন্তী চাকমা, এমপি, এম এ মতিন, এমপি, আয়েশা ফেরদাউস, এমপি, জনাব ফখরুল ইমাম, এমপি, এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন, এমপি, এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আখতার হোসেন, এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু, এমপি, আরমা দত্ত, এমপি, মো. মোনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এমপি, মো. সাদেক খান, এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু, বেগম আফরোজা হক, এমপি, আদিবা আনজুম মিতা, এমপি, নাহিম রাজ্জাক, এমপি, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, এমপি, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আরাফাত, এমপি, পঙ্কজ নাথ, এমপি, রওশন আরা মান্নান, এমপি, মনিরা সুলতানা, এমপি, শিরীন আহমেদ, এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, এমপি, মোঃ নুরুল আমিন, এমপি।
হাসানুল হক ইনু, এমপি সম্মানিত সকল অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ইকোসিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এর প্রক্রিয়ায় এমপিদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিআইজিএফ-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্সফারাম (বিআইজিএফ) এবং ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাকশন লাইন সম্পর্কে উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন।
এএইচএম বজলুর রহমান, নির্বাহী সমন্বয়কারী, গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এর জন্য বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর কানেক্টিং, এমপাওয়ারিং অ্যান্ড এমপ্লিফায়িং ইউনিফাইড ভয়েসেস-এর বৈশ্বিক এবং দেশের প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সভাকে অবগত করেন।
মাল্টি-স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে শ্যামসুন্দর শিকদার, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি); নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন; অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ; রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্য ন ন খাইন; ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সচিব, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, মো. এমদাদুল হক, সভাপতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) মোঃ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, মোঃ শাহিনূর মিঞা, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, পিআইডি, মরিয়ম-উল-মুতাহারা, সমন্বয়কারী, নলেজ ম্যানেজমেন্ট, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন; মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, উপ-সচিব, অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম রেজাউর রহমান, পরিচালক, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন, জনাব কাওসার আলম কনক, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, এডাব, এস এম মোরশেদ, সিসি ও এইচএম বিশেষজ্ঞ, আইওএম, অধ্যাপক শাহ আলম চৌধুরী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড. মোঃ রাকিবুল হক, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান, মহাপরিচালক, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার কাইনাত, অতিরিক্ত সচিব, পোস্ট এন্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মনিরুজ্জামান, মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক সুমন কুমার পাটোয়ারী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি সিকদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্টেফান লিলার, বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ইউএনডিপি বলেন, গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪- টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমাদের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে। সবার জন্য মুক্ত, অবাধ এবং নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে। তিনি মাল্টি-স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অফ দ্য ফিউচার ২০২৪-এর বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর কানেক্টিং, এমপাওয়ারিং অ্যান্ড এমপ্লিফায়িং ইউনিফাইড ভয়েসে-এর এই আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
কে এম আব্দুস সালাম বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় স্পিকারের নেতৃত্বে ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমরা একটি ই-পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ সংসদ গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট এবং ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪-এর সকল প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “আমরা গেøাবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট অ্যান্ড সামিট অব দ্য ফিউচার-২০২৪-এর প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম এবং বাংলাদেশের সংসদীয় ককাসকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি প্রতিফলিত হয় সেরকম একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা এবং একটি অবস্থান পত্র তৈরি করার জন্য আহবান জানান”।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
০ টি মন্তব্য