তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি ২০২৩) তৃতীয় দিনে ‘উইটসা অ্যাওয়ার্ড নাইট’ এ এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ফর স্কিলস, এডুকেশন, এমপ্লইমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রপ্রেনারশিপ-এনআইসিই’ এবং ‘মুক্তপথ - এনশিউরিং ই-লার্নিং ফর অল’ প্রকল্পের জন্য উইটসার ডিজিটাল অপোরচুনিটি/ ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড ও ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে।
এছাড়াও বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিপুল সংখ্যক প্রকল্পের মধ্যে এটুআই এর প্রকল্প দুইটি এবং উইম্যান ইন টেক এ ‘উই’ শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসেবে এই সম্মাননা অর্জন করে।
‘এনআইসিই এবং মুক্তপথ’ প্রকল্প দুইটি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
০৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার কুচিং সারওয়াক এর বর্নেও কনভেনশন সেন্টার কুচিং এ (বিসিসিকে) ‘উইটসা অ্যাওয়ার্ড নাইট’ এ উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) ’ উইম্যান ইন টেক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
উইটসা অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠানে উইটসার চেয়ারম্যান সীন শিয়াহ, দ্য ন্যাশনাল টেক অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়া (পিকম) এর চেয়ারম্যান অং চিন সিয়ংসহ অন্যান্য অতিথিরা মঞ্চে উপস্থিত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
এটুআই এর পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেন জিনিয়া জেরিন এবং এলাভি জামান দিশা।
ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন, টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্স (উইটসা) প্রতিবছর এই পুরস্কারের আয়োজন করে থাকে।
বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একে সম্মাজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সংগঠন উইটসার একমাত্র সদস্য। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন প্রকল্পকে উইটসার এই বিশ্ব সম্মাননার জন্য প্রতিবছর বিসিএস মনোনয়ন প্রদান করে।
বাংলাদেশের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়ে উইটসার চেয়ারম্যান সীন শিয়াহ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে খাতে অল্প সময়ে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের। নিত্যনতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সারাদেশে প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য এটুআই এবং তরুণীদের প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) এর প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। বৈশ্বিক এই সংকটময় মুহুর্তে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আমাদের সমস্যা মোকাবেলার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।
উইটসা অ্যাওয়ার্ড অর্জন প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, বিসিএস প্রযুক্তি সংগঠনগুলোর অভিভাবক হিসেবে বরাবর কাজ করে আসছে। দেশের উদ্ভাবন এবং কার্যকর প্রকল্পকে উইটসার কাছে ঠিকমতো উপস্থাপন করতে বিসিএস সর্বদা বদ্ধ পরিকর। এটুআই এবং উই এর অর্জন দেশের প্রযুক্তিখাতকে গৌরবান্বিত করেছে। দেশের প্রযুক্তি খাতকে বিশ্বে সমাদৃত করতে বিসিএস সবসময় কাজ করে আসছে এবং আমাদের এই প্রচেষ্টা চলমান থাকবে।
প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউসিআইটি ২০২৩) ০৩ থেকে ০৫ অক্টোবর মালয়েশিয়ার কুচিং সারওয়াক এর বর্নেও কনভেনশন সেন্টার কুচিং (বিসিসিকে) অনুষ্ঠিত হয়।
০ টি মন্তব্য