বিদেশে ব্যবহৃত পুরনো মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ আমদানি জাতীয় জীবনে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, 'ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশ থেকে পুরানো ব্যবহৃত কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন আমদানি করা জাতীয় জীবনে একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। আমরা দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্টে পরিণত হতে দিতে পারি না। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা কীভাবে দেশে প্রবেশ করছে তা খতিয়ে দেখা উচিত। অবশ্যই তাদের বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
'বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস' উপলক্ষে শনিবার (১৪ অক্টোবর) ডিজিটাল প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে ই-বর্জ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দক্ষ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাও অপরিহার্য। ই-বর্জ্যের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করতে এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে সম্পদে পরিণত করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ই-বর্জ্যের কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশনগুলোকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ই-বর্জ্য কীভাবে পুনর্ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। সেই ভিত্তিতে ই-বর্জ্য দিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। ই-বর্জ্যের সফল ব্যবস্থাপনা সকল সম্প্রদায়ের জন্য অনেক উপকারী হবে।
বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, সার্ক সিএসআই সদস্য সাফকাত হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম মইনুল হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাহফুজা, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বাকোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ মোবাইল কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ই-পণ্য থেকে বছরে ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। এই বর্জ্যকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে এই বর্জ্য সম্পদ হতে পারে। এই সম্পদের বাজারের আকার প্রায় ২২০ মিলিয়ন ডলার।
০ টি মন্তব্য