মঙ্গলবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এর সদস্য তেফারে তেসফাচিউ’র সাথে আলোচনায় যোগদেন বেসিস সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ও এসএসজিপি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার মোস্তফা আবিদ খান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর উপ-পরিচালক সুজন দাস গুপ্ত, সার্ক চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফকাত হায়দার, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
সভায় বেসিস সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সফটওয়্যার ও আইটি শিল্পের প্রসার নিয়ে যেভাবে এগোচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তবে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের মতো বড় একটি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করলেও, তৎকালীন সরকার বিষয়টি প্রপারলি কমিউনিকেট করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন শিল্প সংশ্লিষ্টরা এই পরিবর্তনের গুরুত্ব এবং প্রভাব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নয়। এটি এমন একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে যেখানে এলডিসি থেকে উত্তরণ এখন অনেকের কাছে হঠাৎ ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে, কিন্তু সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য ও পরিকল্পনার অভাবে বিষয়টি অনেকের কাছেই হঠাৎ সিদ্ধান্তের মতো মনে হচ্ছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং বিশেষত আইটি শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি একইসঙ্গে আমাদের সক্ষমতাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার সুযোগও বটে।
এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে হলে আমাদের সকল সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। প্রপার টাইমলাইন, সঠিক পরিকল্পনা এবং ইন্ডাস্ট্রির সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ২০২৬ সালের পরিবর্তে আরও কিছুটা সময় পাই, তবে আমাদের সুযোগ থাকবে অবকাঠামো এবং নীতিমালা উন্নত করে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও শক্তিশালী করার। আমাদের তরুণ প্রজন্মের ওপর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার বড়দায়িত্ব। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সফল করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে বলে আমি মনে করি।
সভায় এই বিষয়ে বেশি বেশি কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তাব করেন ইউনাইটেড ন্যাশনস কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএনসিডিপি) এর সদস্য তেফারে তেসফাচিউ।
এই বিষয়ে বেসিস ইতোমধ্যেই বেসিস ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে একটি কর্মশালার আয়োজন করবে। পাশাপাশি, আমাদের সামনের অনুষ্ঠানে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
০ টি মন্তব্য