ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন কে আজ (৬ এপ্রিল) মহামান্য আদালত জামিনে মুক্তি দেয়। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব। ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর গত বছর জুলাই মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রীম যে টাকা নিয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।
গত
বছর জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্ত দল ইভ্যালির কার্যক্রমের
কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পরদিনই বেশ কয়েকটি ব্যাংক ইভ্যালিসহ আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার ভিত্তিতে সেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন বাতিল করে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা যখন নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে, তখন আগাম টাকা দিয়েছেন এমন গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ পাওয়ার ব্যাপারে নতুন করে উদ্বেগ বা সংকট তৈরি
হয়। গত বছর ইভ্যালির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ইভ্যালিতে গ্রোসারি আইটেম, খাবার, বাইক, মোবাইল, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, এসি, ফ্রিজের মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ফ্যাশন আইটেম বেশি বিক্রি করা হত। গত বছর ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল দেশে ইভ্যালির ৪০ লক্ষের বেশি নিবন্ধিত গ্রাহক বা ক্রেতা রয়েছেন।
০ টি মন্তব্য