https://powerinai.com/

আশার নতুন দিগন্ত: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

মানব উন্নয়ন অগ্রগতি ৩৫ বছরে সর্বনিম্ন: ইউএনডিপি রিপোর্ট

মানব উন্নয়ন অগ্রগতির গতি ৩৫ বছরে সর্বনিম্ন: ইউএনডিপি রিপোর্ট মানব উন্নয়ন অগ্রগতির গতি ৩৫ বছরে সর্বনিম্ন: ইউএনডিপি রিপোর্ট
 

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর প্রকাশিত ২০২৫ সালের মানব উন্নয়ন রিপোর্ট-এ দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়নের গতি গত ৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর যথাযথ ব্যবহার এই স্থবিরতা কাটিয়ে উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলেই রিপোর্টে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

সংকটকাল পেরিয়েও নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি

২০২০-২১ সালের বৈশ্বিক সংকটের পরে যে পুনরুদ্ধার প্রত্যাশিত ছিল, তার বদলে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। এই বছর প্রকাশিত "A Matter of Choice: People and Possibilities in the Age of Artificial Intelligence" শিরোনামের রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৪ সালের HDI (Human Development Index) তথ্যানুযায়ী বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে উন্নয়ন স্থবির হয়ে আছে।

উচ্চ ও নিম্ন উন্নয়নশীল দেশের বৈষম্য বেড়েছে

এইচডিআই সূচকে বৈষম্য গত চার বছর ধরে বেড়েই চলেছে। আগে যেখানে ধনী ও দরিদ্র দেশের ব্যবধান কমছিল, এখন তা উল্টোভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে নিম্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ আরও তীব্র — কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বাণিজ্য টানাপড়েন, ঋণ সংকট ও কর্মসংস্থানহীন শিল্পায়নের প্রসার।

[এইচডিআই হলো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) দ্বারা তৈরি একটি মানদণ্ড, যা একটি দেশের মানুষের জীবনমান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরে]

এআই নিয়ে আশাবাদী সাধারণ মানুষ

  • ৫০% মানুষ মনে করেন তাঁদের চাকরি এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।
  • ৬০% বিশ্বাস করেন এআই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
  • ১৩% মাত্র মানুষ এআই-এর কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কা করেন।
  • ৭০% নিম্ন ও মধ্যম এইচডিআই দেশের মানুষ মনে করেন এআই তাঁদের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।
  • ২/৩ অংশ মানুষ আগামী এক বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করবেন বলে আশা করেন।

এআই: মানব উন্নয়নের নতুন দিকচিহ্ন?

ইউএনডিপি প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন,

"যদি বর্তমান স্থবিরতাই 'নতুন স্বাভাবিক' হয়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ মানব উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন কয়েক দশক পিছিয়ে যেতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, “এআই কোন জাদুর কাঠি নয়, তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দিতে পারে।”

আগামী দিনের করণীয়

রিপোর্টে এআই-কে ঘিরে তিনটি মূল কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে:

০১) মানুষ ও এআই-এর সহাবস্থান: এআই-এর সাথে প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতা।

০২) নীতি নির্ধারণে মানুষের অংশগ্রহণ: ডিজাইন থেকে প্রয়োগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা।

০৩) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের আধুনিকায়ন: একবিংশ শতাব্দী চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান ও পাঠক্রম তৈরি।

প্রযুক্তিতে সমান সুযোগের আহ্বান

রিপোর্টে আরও বলা হয়, এআই ব্যবহার ইতিমধ্যেই অনেক অঞ্চলে শুরু হয়েছে। এক-পঞ্চমাংশ মানুষ এখন এআই ব্যবহার করছেন, যা আগামী বছরে আরও বাড়বে। এ কারণে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিশ্চিত করাই হবে মূল চাবিকাঠি। তবে শুধু অ্যাক্সেস নয়, মানুষ কিভাবে এআই ব্যবহার করে সেটিই হবে সত্যিকার উন্নয়নের মাপকাঠি।

ইউএনডিপি রিপোর্ট অফিসের পরিচালক পেদ্রো কনসেইসাও বলেন, "সঠিক নীতির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে কৃষক থেকে উদ্যোক্তা—সবার জন্য জ্ঞান ও দক্ষতার এক নতুন সেতুবন্ধন।"

পুরো রিপোর্টটি পড়ুন:

https://hdr.undp.org/content/human-development-report-2025








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।