https://comcitybd.com/brand/Havit

ডিজিটাল বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে মোবাইল গেমিং

ডিজিটাল বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে মোবাইল গেমিং

ডিজিটাল বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে মোবাইল গেমিং ডিজিটাল বিশ্বে পরিবর্তন এনেছে মোবাইল গেমিং
 

মোবাইল গেমিং শুধুমাত্র বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ডিজিটাল যুগের আবির্ভাবের সাথে, গেমগুলি একটি বৃহত্তর পরিসরে প্রভাব ফেলছে। গেমিং সেক্টর এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক সংযোগ এবং ডিজিটাল অর্থনীতির গতিপথ উন্নত করার দুর্দান্ত সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।


গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, গ্লোবাল মোবাইল গেম দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। স্ট্যাটিস্টার ডেটা অনুসারে, ২০১৭ সাল থেকে ডিজিটাল ভিডিও গেমের আয়, প্লেয়ারের সংখ্যা এবং এপিআরইউ বেড়েছে। ফলস্বরূপ, এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে এই ধরনের বৃদ্ধি ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। মূলত ২০১১ সাল থেকে মোবাইল গেমিং কনটেন্টগুলোর বাজার দর বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালের মধ্যে, গ্লোবাল মোবাইল গেম অ্যাপগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে মুনাফা আয় করেছে। অন্যদিকে, ২০২৩ সালে এফটুপি মোবাইল গেমের আয় আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 


শুধু পশ্চিমা দেশেই নয়, মোবাইল গেম এখন সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এশিয়ার শিল্পায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী গেমিং আয় ২০২৬ সালের মধ্যে ৩২০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যা এই সেক্টরের গুরুত্ব এবং বিশ্বজুড়ে গেমিং শিল্পের প্রসার সম্পর্কে অনেক কিছু বলে৷


শুধু স্ক্রিন ট্যাপ এবং গেমে স্কোর করা–গেমিং নিয়ে এমন গতানুগতিক ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে সময়ের মোবাইল গেমিংগুলো। এতে যুক্ত হচ্ছে আরও নানা রকম দিক। যেমন ২০২১ সালে, এমন লৈঙ্গিক বৈষম্য নিয়ে গেমগুলোতে সতর্ক হতে দেখা যায়। তা ছাড়া, খেলোয়াড়রাও গেমের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে মিল খুঁজে পায়। যার প্রভাব বোঝা যায় গেমের ক্যারেক্টার বা চরিত্রগুলো নির্বাচনের সময়।  


করোনার সময়ে মোবাইল গেম অনেকের জন্য স্বস্তির উৎস হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন গেম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক। অনিশ্চয়তা বা একাকীত্বের মুহুর্তে, গেমটি যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠে। একইসঙ্গে এটি এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি এবং থেরাপিউটিক সহায়ক উৎস হিসেবেও কাজ করে।


মোবাইল গেমিং কোনো সাময়িক বিষয় নয়, বরং ডিজিটাল অর্থনীতিতে চাঙ্গা করার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠছে। যে শিল্পগুলো প্রযুক্তিনির্ভর, ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনশীল এবং বিশ্বজুড়ে যারা কাজ করে থাকে সেই শিল্পগুলো দ্রুত উন্নতি করে। ঠিক তেমনি মোবাইল গেমিংয়ের বিস্তৃতি, মনিটাইজেশন এবং ভিন্ন সব খেলোয়াড় আর গ্রাহক থাকায় ডিজিটাল খাতের সম্ভবনা অনেক বেশি। বলতে গেলে, অর্থনৈতিক বিস্তৃতি, বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং সামাজিক বিবর্তনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল গেমিং। গেমিং নিছক খেলার চেয়েও এখন বেশি কিছু। যা শিল্পের আকারে তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ।








০ টি মন্তব্য



মতামত দিন

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার মতামতটি দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।







পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? পুনরায় রিসেট করুন






রিভিউ

আপনি লগ ইন অবস্থায় নেই।
আপনার রিভিউ দেওয়ার জন্য লগ ইন করুন। যদি রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করুন।